২৯ বছর পর প্রথম আইসিসি ইভেন্ট আয়োজনের সুযোগ পেয়েছিল পাকিস্তান। যা দেশটির ক্রিকেট ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে শুরুর দিকে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
এতদিন আইসিসি টুর্নামেন্ট না হওয়ায় পাকিস্তানের স্টেডিয়ামগুলো মেগা আসরের জন্য অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছিল। এ কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগে পিসিবি স্টেডিয়াম সংস্কারের উদ্যোগ নেয় এবং তিনটি স্টেডিয়াম (লাহোর, করাচি, রাওয়ালপিন্ডি) চূড়ান্ত করা হয়। ইংরেজ দৈনিক ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ জানায়, স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য পিসিবি ১৮ বিলিয়ন পাকিস্তান রুপি খরচ করে এবং ৪০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে প্রস্তুতিতে। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের ব্যয় প্রায় ৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
শুরুতে এককভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল পিসিবির, তবে ভারত পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে রাজি না হওয়ায় সমঝোতার মাধ্যমে হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হয়। ভারতের জন্য নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে দুবাই স্টেডিয়াম চূড়ান্ত করা হয়। এর ফলে ১৫ ম্যাচের টুর্নামেন্টের ৫ ম্যাচই দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়। পাকিস্তানে আয়োজন হতে যাওয়া ১০ ম্যাচের মধ্যে ৩টি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়।
পাকিস্তান ঘরের মাঠে মাত্র এক ম্যাচ আয়োজিত করতে পারলেও, পিসিবি ৯৩ মিলিয়ন ডলার খরচ করার পর হোস্টিং ফি, টিকিট বিক্রয় এবং স্পন্সরশিপ থেকে মাত্র ৬ মিলিয়ন ডলার আয় করতে পেরেছে। ফলে পিসিবির ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৮৫ শতাংশ।
এই আর্থিক ক্ষতির প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটারদের উপরও। ন্যাশনাল লিগ-২০ তে অংশ নেওয়া ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি'র ৭৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় পিসিবি। তবে বোর্ড চেয়ারম্যান মহসিন নকভি এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছেন।